শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৯

দীঘলবাঁকের উপাখ্যান ---১

----------------------------------------

মধুমিতা নাথ


এই তো ---
আর অল্প কিছু সময়
ফটকে তালা ঝুলিয়ে , সিঁড়ির আলোগুলি নিভিয়ে এলেই আজকের মতো সব কাজ ইতি
এরপর আমি হাসবো , গাইব , নিজের মতো করে ভাববো
যেমনটা তোমরা করো ছুটির দিনগুলোতে

আরে আরে ! যাচ্ছো কোথায় , হৃদয় ?
তুমি কি খুব বেশি হয়রান ! কোনো আঘাত পাওনি তো ! চিহ্ন দেখছি না,
আজকাল চেতনার সঙ্গে তোমার খুব কথা কাটাকাটি শুনতে পাই , বিতর্ক ভালো , কুতর্ক নয়
ভালোবাসায় খামতি রেখো না!

আঁখি , তুমি কি খুব বেশি ক্লান্ত !
সারাদিন ডিজিটাল স্ক্রিনে সংখ্যাতত্ত্বের জালে আটকে জানালাটা খুলতে ভুলেছ !
অবশ্য সবই আমার অনুমান , তোমরা তো কিছু বলবেই না ঠিক করে ফেলেছ

পাহাড়টাকে দ্যাখো ভালো করে।
সারা গায়ে অজস্র খাঁজ নিয়ে , পাথর বুকে কতটা ঋজু আর দরাজ এখনো
ওখানেও পাখিদের আনাগোনা বারোমাস
পাথরের খাঁজে শস্যদানা খুঁজতে গিয়ে কাঠপিঁপড়ে খুঁটে খায় ,
পিঁপড়েরও বিষ থাকে , জানো তো !
শীত শেষ বলেই না গাছগুলো ন্যাড়া ডাল , তবুও মেঘের দিকেই হাত বাড়িয়ে আলিঙ্গন প্রত্যাশা করে বসন্তের ,
কৃষ্ণকলি মেঘেদের বুকে অভিমান গুরুগুরু বাজে
আজ বাদে কাল বর্ষা নামবেই পাহাড়ে

তার আগে চল , দু'একটা খাঁজ ভরাট করি সবাই মিলে কিছু অক্ষরে , রঙ-তুলিতে
ভারী বর্ষায় স্রোতস্বিনী নেমে আসুক আমার সমতলে , খড়কুটো ভেসে গেলে পলি থেকে যাবে কিছু হলেও
কিছু বীজ আর কিছু চারাগাছ  , বড় হবে আশাতেই ভরসা

ছুটি তো নিশ্চয়ই হবে , পাওনা আছে যে!
                   --------------

৬টি মন্তব্য: